শুভ্র কেমন যেন হয়ে গেছে। অনেক উদ্ভট কাজ করে ও। কিন্তু আজকাল যা করছে, তার স্বভাবের সাথে ঠিক যায় না। সেলুনে যায়নি অনেকদিন, মুখে দাড়িগোঁফের জঙ্গল। রেহানা বেগমের এটা পছন্দ হচ্ছে না। রাত ১:৫০, এখন কি তাকে এ ব্যাপারে বলা ঠিক হবে! তিনি ছেলের ঘরে গেলেন।
এজ ইউজুয়াল, ছেলে কম্পিউটার স্ক্রিনে একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে, ঠুকঠাক কিবোর্ড চাপছে। থুতনির কয়েকটা দাঁড়ি সোনালী। আর ঠিক ওই জায়গাতেই হাত বোলাচ্ছে বারবার।
কিন্তু আজ চোখে পড়ার মত বিষয়টা হল ওর গায়ে একটা ক্যাটক্যাটে হলুদ পাঞ্জাবি। কাপড়ের কোয়ালিটি বেশ বাজে। ছেলের সব কাপড় মা নিজে কিনেন, এই পাঞ্জাবি কোত্থেকে এল!
– শুভ্র?
– হুম? এখনো জেগে আছ যে! (স্ক্রিন থেকে চোখ না সরিয়েই)
– কথা ছিল। তুই কি বিজি?
– হুম, কয়েকজনের সাথে কথা বলছি।
– এত রাতে?
– যাদের সাথে চ্যাট করছি, তাদের সবার এখন রাত না। একজন তো এইমাত্র লাঞ্চ করল, chapulines দিয়ে।
– বেড থেকে বইখাতা সরিয়ে দেই?
– না। বইগুলো ঠিক ঠিক যে পজিশনে ছড়ানো আছে, সেভাবেই থাকা দরকার। তুমি কি বলতে এসছিলে, বলে ফেলো, মা।
রেহানা বেগম ঘর থেকে চলে যাচ্ছেন, ও খেয়াল করেনি।
– রূপাপু, আপনি খুবই অদ্ভুত!
রেহানা বেগম শুনতে পেয়েছেন। ছেলেকে কী বলতে গিয়েছিলেন, বলা হয়নি। আর মনেও করতে পারছেন না। আজ বোধ হয় ঘুমের ওষুধ খাওয়া লাগবে তাঁর।